স্বাগতম
কাজী বজলুল হক ফাউন্ডেশনে সকলকে স্বাগতম। কাজী বজলুল হক ফাউন্ডেশন, একটি সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নে মৌলিক ভূমিকা রাখে। এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হলো দুর্বল, দুর্ভাগ্যগ্রস্ত, প্রতিবন্ধী, বিদ্যালয় বাসিন্দারা এবং দরিদ্র সমাজের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা। ফাউন্ডেশনটি বিভিন্ন সেবা সরবরাহ করে, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগ, আর্থিক সহায়তা ইত্যাদি।
এটি যুগ্মের একটি বৃহত্তর অংশ, যা নির্ভুলভাবে এই লক্ষ্যগুলি পূরণ করার জন্য প্রতিবদ্ধ। ফাউন্ডেশনের আগের কর্মকাণ্ডগুলির মধ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে বিদ্যালয় পড়ুয়ারা প্রতি বছর বেতন, বই, ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করে। সামাজিক সংস্কারে ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠান করে, যেগুলি সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং সমাজের সদস্যদের প্রতিষ্ঠান করে। কাজী বজলুল হক ফাউন্ডেশন সামাজিক পরিবর্তনের পথে এক প্রমুখ নায়ক হিসাবে গণ্য হয়।

কাজী বজলুল হক
কাজী বজলুল হকের যত পুরুস্কার অর্জন
কাজী বজলুল হক সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষাকতার পাশাপাশি দু’দুবার জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। প্রথমবার ১৯৮৯ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে পুরস্কৃত হন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৮ সালে অর্জন করেন জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হওয়া গৌরব।

সংক্ষেপে কাজী বজলুল হকের জীবনী
১৯৩৮ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলার পালিশারা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন কাজী বজলুল হক। বাবা কাজী আলীমুদ্দিনের হাত ধরে নিজ গ্রাম পালিশারার ‘পালীশারা জুনিয়র মাদ্রসায়’ লেখাপড়া শুরু করেণ।
এরপর ১৯৪৮ সালে এ মাদ্রাসা থেকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ করেণ। পরবর্তী সময়ে শাহরাস্তী মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই ১৯৫৩ সালে মাদ্রাসা পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৭ম স্থান দখল করেণ। এরপর লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেসা কলেজ থেকে ১৯৫৫ সালে আইএ পারীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করেন।

কাজী বজলুল হকের সন্তানেরা
তিনি ৫ সন্তানের জনক। কাজী বজলুল হকের সন্তানেরা কে কোথায় আছে নিচে দেওয়া হলো।
বড় ছেলে কাজী আনোয়ারুল হক হেলাল, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখা সহ-সভাপতি।
২য় সন্তান ডা.কাজী মোস্তফা সারোয়ার,অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ও প্রাক্তন মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ঢাকা।
৩ সন্তান তানজিনা ফেরদৌস রুনু, ভাইস প্রিন্সিপাল, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, তেজগাঁও ঢাকা।

ছবি গ্যালারি
কাজী বজলুল হক ফাউন্ডেশনের সকল ছবি গ্যালারি
কাজী বজলুল হক সর্ম্পকে অনুভূতি
কাজী বজলুল হক সর্ম্পকে তার ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্যদের অনুভূতি প্রকাশ
জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মরহুম কাজী বজলুল হক ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি সবর্দা মানবিক কল্যাণে কাজ করতেন। এমন কোন ব্যক্তি পাওয়া যাবে না যে বলতে পারে ওনার দ্বারা উপকার ছাড়া ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে উনি ধারণ করেছেন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে যেমন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন তেমনি শিক্ষক,অভিভাবক,শিক্ষার্থীদের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করেছেন। ফজরের নামাজের পর প্রাতভ্রমণে বের হয়ে শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নিতেন। সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা থেকে সকলকে সদুপদেশ দিতেন।
ব্যক্তিগতভাবে যদি বলতে হয়,আমার শিক্ষকতা পেশায় আসার একমাত্র অবদান ওনার। আল্লাহ আমার জ্যেঠা শ্বশুরকে জান্নাত বাসি করুন। আমিন।
সময় মানুষকে মনে করিয়ে দেয় অতিতের অনেক মধুময় স্মৃতির কথা , তেমনি আমাদের অনেকের প্রাণ প্রিয় শিক্ষকদের একজন যিনি ১৯৯৮ ইং সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্নপদক প্রাপ্ত হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মরহুম ” কাজী বজলুল হক স্যার ” । তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই ,তবুও মনে পড়ে ওনার মুখের সেই সুন্দর হাসি , মায়াবী শাসন , নানাবিদ উপদেশ , রেখে গেছেন হাজার হাজার কৃতি সন্তান । মানুষ গড়ার এই মহান কারিগরের ছবিটি আজ একটি এফবিতে দেখেই শ্রদ্ধায় ও গর্বে মনে হল স্যার কে দোয়া করি আল্লাহ যেন ওনাকে চিরসুখে জান্নাতের চায়াতলে রাখেন __ __ আমিন ।
আজ আমার জ্যাঠা হজিগঞ্জ মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজর প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ,দেশ বরন্য শিক্ষাবিদ,দেশের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মরহুম কাজী বজলুল হক এর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী । আজকে আমার জীবনে যা কিছু অর্জন তার ভিত্তি উনার মাধ্যমে। আমি সৌভাগ্যবান যে উনার মত মহান মানুষের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ পেয়েছি। আমি বাস্তব জীবনে উনার আদর্শকে লালন করার চেষ্ঠা করি যদিও উনার ধারেকাছেও যেতে পারব না। মহান রাব্বুল আলামিন আমার জ্যাঠাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম নসিব করুন, আমিন।
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই | মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে দিয়ে। যারা জীবনদশায় ভালো কাজ করে যান মানুষ পরবর্তীতে তাদের আজীবন মনে রাখেন, তেমনি একজন ছিলেন কাজী বজলুল হক।
প্রকাশিত সংবাদ
বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত সংবাদ